Thursday 23 November 2017

মিনি স্ট্রোক


ডায়মন্ড হারবারের শেষ মাথায় একটি জনপ্রিয় হোটেলের মালিক সুরঞ্জন চৌধুরী। যেমন সাজানো গোছানো পরিবেশ ততোধিক উপাদেয় পঞ্চব্যঞ্জন। গঙ্গার পারে ফুরফুরে হাওয়া খেতে খেতে এই হোটেলে লাঞ্চ বা ডিনার সেরে নেওয়াটা অধিকাংশ ট্যুরিষ্টেরই পছন্দেরই তালিকায় থাকে। গোলগাল, অমায়িক সুরঞ্জনের ব্যবহার ও আপ্যায়নে অতিথিরা দিব্যি মজে থাকেন। বহু বছরের পুরোনো হোটেলটি যে ঐতিহ্য ও খ্যাতিতে অন্যান্য হোটেলগুলির থেকে কয়েক কদম এগিয়ে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এ নিয়ে ষাটোর্দ্ধ সুরঞ্জন গর্বও করেন বেশ। কিন্তু তাঁর গর্বের ফানুশ যে হাওয়ায় দুলতে দুলতে একেবারে গঙ্গার ঘাটে সলিল সমাধি ঘটাবে তা আর কে জানত ! কি হল ? শুনুন তাহলে।

কোনো এক বসন্তের সন্ধ্যায় এক সদ্য বিবাহিত তরুণ তরুণী প্রেমের জোয়ারে ভাসতে ভাসতে একটি রুমের সন্ধানে উপস্থিত হলেন সুরঞ্জনের হোটেলে। সুরঞ্জন মিষ্টি হেসে তাদের আপ্যায়ন করলেন ও অনতিদূরেই একটি সোফায় বসালেন। অফিসিয়াল ফর্মালিটি সারতে সারতে কতকটা আকস্মিক ভাবেই সুরঞ্জনের বাঁদিকের চোখ ও মুখ নাচতে লাগল। দূর থেকে দেখে নব পরিণীতা বধূ মনে করলেন, সুরঞ্জন বুঝি তাকে অশালীন ইঙ্গিত করছেন। প্রথমটায় তিনি তেমন পাত্তা দিলেন না। কিন্তু  কেলেঙ্কারির আরো কিছুটা বাকি ছিল। যখন কিছুক্ষন বাদে বাদেই আবার সুরঞ্জনের চোখ মুখ সমান তালে নড়তে লাগল তখন তিনি আর বসে থাকতে পারলেন না। উঠে এসে ঠাস করে এক চড় মেরে সুরঞ্জনকে জিজ্ঞেস করলেন, 'কি ইতর লোক মশাই আপনি ? সমানে আমাকে চোখ মারছেন তখন থেকে ? এই বয়েসে লজ্জা করে না' ? সুরঞ্জন গালে হাত দিয়ে স্তম্ভিত হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন। ব্যাপারটা যে সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত এটা কিছুতেই বুঝিয়ে উঠতে পারলেন না। আশ্চর্যের বিষয় হল সুরঞ্জন চড় খাওয়ার পরও কিছুতেই চোখ ও মুখের মুভমেন্ট কন্ট্রোল করতে পারছিলেন না। সেটা দেখে যুবক স্বামীটি এগিয়ে এসে ভালো করে নিরীক্ষণ করে বললেন, 'আপনার ট্রানসিয়েন্ট ইস্কেমিক এট্যাক হচ্ছে খুব সম্ভবত' । তারপরেই ঘাড় ঘুরিয়ে নিজের স্ত্রীকে বললেন, 'চট করে আমার প্রেসারের যন্ত্রটা নিয়ে এস তো গাড়ি থেকে'।

সদ্য বিবাহিত যুবকটি ডাক্তার হওয়ার ফলে সে যাত্রা সুরঞ্জন রক্ষা পেয়ে গেলেন বটে। অন্যথা হলে সুরঞ্জনের হেনস্থা আটকানো কঠিন হত খুব। তবে আপনি যে সর্বক্ষেত্রে হাতের সামনে একজন ডাক্তার পেয়ে যাবেন তা নয় কিন্তু। ট্রানসিয়েন্ট ইস্কেমিক এট্যাক বা টিয়া কিন্তু হঠাৎ করেই হয়, প্রায় বিনা নোটিশেই। আসুন জেনে নিই এটি কি জিনিস।


ট্রানসিয়েন্ট ইস্কেমিক এট্যাক বা টিয়া কি ?

মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ যদি অস্থায়ীভাবে বাধাপ্রাপ্ত হয় তখনই ট্রানসিয়েন্ট ইস্কেমিক এট্যাক বা টিয়া হয়। টিয়ার উপসর্গগুলিও স্ট্রোকের উপসর্গের মতোই। তবে এটি ক্ষণস্থায়ী হয় এবং চরম ক্ষতি কিছু হয় না।সাধারণত টিয়াকে 'মিনি স্ট্রোক' বা 'ওয়ার্নিং স্ট্রোকও' বলা হয়ে থাকে। তাই একে একেবারেই হালকা ভাবে নেওয়া উচিত নয়। কারণ এর অর্থ হল ভবিষ্যতে আপনার স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। যদি আপনার টিয়া হয়ে থাকে তাহলে এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে ডাক্তার দেখানোই কিন্তু বিচক্ষণতার লক্ষণ।

কোন বয়েসে হতে পারে ?
যে কোনো বয়েসেই এই এট্যাক হতে পারে। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে এর সম্ভাবনা বেশি দেখা দেয়। পরিসংখ্যান বলছে - প্রত্যেক তৃতীয় ব্যক্তি  যাদের এই এট্যাক হয়েছে এবং চিকিৎসায় গাফিলতি করেছেন তাদের এক বছরের মধ্যেই বড় ধরণের এট্যাক হয়েছে। স্ট্রোক থেকে অর্ধেকের বেশি মৃত্যু মহিলাদের ক্ষেত্রেই ঘটে।  এছাড়াও পরিবারে কোনো সদস্যের যদি টিয়া বা স্ট্রোক হয়ে থাকে তাহলে এই এট্যাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।

এর উপসর্গ কি ?

সাধারণত ১০ - ২০ মিনিটের বেশি এর উপসর্গগুলি থাকে না। এবং সেগুলি হল -

# বিশেষ করে শরীরের একদিকে হঠাৎ নিস্তেজতা, মৃদু কম্পন, দুর্বলতা, মুখ, হাত বা পা সঞ্চালনে সমস্যা
# দৃষ্টিশক্তিতে হঠাৎ পরিবর্তন
# কথা বলায় সমস্যা
# সহজ কথা বুঝতে বিভ্রান্তি বা সমস্যা হওয়া
# হাঁটাচলা বা ব্যালান্স করতে সমস্যা
# হঠাৎ করে কোনো কারণ ছাড়াই মাথাব্যথা হওয়া

কি করে হয় ?
সাধারণত মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার কারণেই এটা হয়। ধমনী শক্ত হয়ে যাওয়া, হার্ট এট্যাক বা হৃদপিণ্ডের অনিয়মিত ছন্দের কারণে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। যার ফলে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনে বাধা পড়ে। জমাট বাঁধার মুহূর্তের মধ্যেই মস্তিষ্কের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং শরীরে  উপরোক্ত উপসর্গগুলি দেখা দিতে থাকে। কখনো কখনো রক্তচাপ সাংঘাতিক হ্রাস পাওয়ার দরুনও এই এট্যাক হয়। একে 'লো ফ্লো' টিয়া বলে। তবে এই এট্যাকটি বিরল। ডাক্তাররা বলেন রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেলেই ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধার সম্ভাবনা প্রবল হয়। যার ফলে অধিকাংশ সময়েই টিয়া হতে পারে। এছাড়াও আরও কারণ আছে। দেখে নিন কি কি -

# অতিরিক্ত রক্তচাপ
# ক্যারোটিড ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধলে (গলার ধমনী যা সোজা মস্তিষ্কে পৌঁছয় )
# পেরিফেরাল ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধলে (হাত ও পায়ের ধমনী )
# ডায়াবেটিস
# রক্তে এমিনো এসিডের বৃদ্ধি
# অতিরিক্ত ওজন

চিকিৎসা কি ?
একজন দক্ষ নিউরোলজিস্ট বা কার্ডিওলোজিস্টের শরণাপন্ন হওয়া। তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ওষুধ খাওয়া এবং প্রয়োজনমত সমস্ত পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া। সুবিদার্থে জানিয়ে রাখি, তিনি যে পরীক্ষাগুলি করাতে পারেন তা হল - সিটিস্ক্যান, এমআরআই, এঞ্জিওগ্রাম, ডপ্পলার আল্ট্রাসাউন্ড, ইকোকার্ডিওগ্রাম, ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম, ব্লাড টেস্ট প্রভৃতি। তবে এতো গেল চিকিৎসকের অধীনে নিয়মমাফিক কাজ করা। আপনাকে নিজে যা যা করতে হবে তা হল -

# ধূমপান ও এলকোহল পরিত্যাগ করা
# কোলেস্টেরল ও ফ্যাট জাতীয় খাবার বর্জন করা
# প্রচুর ফল ও শাকসবজি খাওয়া
# সোডিয়াম যুক্ত বা নোনতা খাবার কম খাওয়া
# নিয়মিত শরীরচর্চা করা
# সুস্থ, স্বাভাবিক ওজন বজায় রাখা
# ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা

এই নিয়মগুলি পরপর মেনে চললে টিয়ার ঝুঁকি যে অনেকাংশেই কমে যায় তা বলাই বাহুল্য। নব বিবাহিতা তরুণী অবশ্য সুরঞ্জনের কাছে ভীষণ ভাবে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন পরবর্তীকালে। কিন্তু আপনার ক্ষেত্রে যদি ঠিক এমনটি ঘটত তাহলে তো আপনি 'টিয়া টিয়া' বলে বিখ্যাত গানটা গেয়েও পার পেতেন না। এখন কথা হচ্ছে আপনি সময় থাকতে সাবধান হবেন নাকি জোর করে বিপদ ডেকে আনবেন। পুরোটাই নির্ভর করছে আপনার ওপর।  

#healtharticle #Transientischemicattack #TIA #healthnews #GenesisHospitalKolkata #asprescribed




Monday 6 November 2017

৮০তে আসিও না


'বার্লি খেলে কি আর যৌবন ফিরে পাব' ?.......
ভানু বন্দোপাধ্যায়ের সেই বিখ্যাত ছবির কথা মনে আছে নিশ্চই ? বার্ধক্যের অমাবস্যা ছেড়ে পুকুর ভর্তি যৌবনের পূর্ণ চন্দ্রিমার লালসায় যে কি কি অলীক কাণ্ড ঘটতে পারে তা তিনি এই ছবিতে সুচারুরূপে বুঝিয়ে গেছেন। তবে কিনা ছায়াছবির গল্পকথায় হৃদয় গলে বটে, তবে বাস্তবের ফাঁক গলে আসল প্রতিচ্ছবিটা আমাদের প্রায়শই বেদনার কারণ হয়ে ওঠে। মন চায় কিন্তু শরীর চায় না মোটে। তবে মনোহর আইচের মতো শতাব্দী জোড়া বাইসেপ্স ট্রাইসেপ্স বাগাতে না পারলেও সুস্থ শরীরটা যে একান্ত কাম্য একথা কিন্তু কায়মনোবাক্যে স্বীকার করবেন সকলে। কারণ মনের প্রজাপতি ইতিউতি উড়ে বেড়ালেও বয়সকালে হাত পা ছুঁড়ে আপনিও যে দিগ্বিদিগ ঘুরে বেড়াবেন তা আর হয়ে ওঠে কৈ ? 

আশিতে আসিলে যে কি কি সমস্যা তৈরী হয় এ আমাদের আপামর বাঙালীকুলের বিলক্ষণ জানা আছে। যেমন - ছানি, আমবাত, গেঁটে বাত, অনিদ্রা, বুক ধড়ফড়, মাড়ি কনকন, গ্যাস অম্বল তো আছেই এমনকি ভীমরতি হওয়াটাও আমরা অধিক বয়েসের রোগ বলেই ধরে থাকি। তবে এতেই ক্ষান্ত নেই, এই সমস্ত রোগের পাশাপাশি এমন আরও একটি রোগ আছে যা কিনা প্রায় বিনা কারণেই দেখা দিতে পারে। আর তা হল - প্রস্রাবে সমস্যা। হ্যাঁ, শুধু ভারতবর্ষে কেন, খুঁজলে পরে গোটা পৃথিবীতেই পঞ্চাশ বা তার বেশি বয়েসের পুরুষের প্রোস্টেটের সমস্যা পাবেন প্রায় ঘরে ঘরে। এই জনপ্রিয় রোগটির একটি গালভরা নাম আছে বটে, ডাক্তারী ভাষায় যাকে বলে বিনাইন প্রস্টেটিক হাইপারপ্লাসিয়া। আসুন দেখে নিই কিভাবে এই রোগ হয় এবং এর হাত থেকে নিস্তার পাবার উপায় কি। 

বিনাইন প্রস্টেটিক হাইপারপ্লাসিয়া কি ?
প্রস্টেট গ্রন্থির বৃদ্ধিকে বিনাইন প্রস্টেটিক হাইপারপ্লাসিয়া বলে। ছোট করে একে বিপিএইচ বলা হয়।বয়স্ক পুরুষদের মধ্যেই সাধারণত এই রোগ দেখা দেয়। তিরিশ বছর বয়েস থেকে এই বিপিএইচ এর সূত্রপাত। ক্রমশ তা বাড়ে ও পঞ্চাশ বছর বয়েসের পর থেকে এই রোগের উপসর্গ দেখা দেয়। তবে নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন কারণ এর থেকে ক্যান্সার হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। বরং এই রোগের কারণ ও উপসর্গগুলিতে একটু চোখ বুলিয়ে নিই। সময় থাকতে থাকতে সাবধান হওয়া যাবে অন্তত। 

এই রোগ হওয়ার কারণ 
সাধারণত এর সঠিক কোনো কারণ জানা যায়নি। তবে কিছু চিকিৎসকদের মতে বয়স্ক পুরুষদের যৌন হরমোনের পরিবর্তন এর কারণ হতে পারে। এছাড়া প্রস্টেট সমস্যার পারিবারিক ইতিহাস থাকলেও এই রোগ হতে পারে। জেনেসিস হসপিটালের নামকরা তরুণ ইউরোলজিস্ট ডঃ দেবাংশু সরকার বলছেন এই রোগটিকে এড়ানোর সম্যক কোনো উপায় নেই।  

ঠিক কি হয় 
প্রস্টেট গ্রন্থি বেড়ে যাবার দরুন মূত্রনালীতে চাপ পড়ে। যার ফলে প্রস্রাবের প্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং এই প্রস্রাব মূত্রাশয়ে জমতে থাকে। ফলস্বরূপ দিনে ও রাতে রুগীর ঘন ঘন প্রস্রাব হতে থাকে। 

উপসর্গ 
# ঘন ঘন মূত্রত্যাগ 
# মূত্রত্যাগের সময় জ্বালা বা ব্যাথা হওয়া  
# মূত্রাশয় নিয়ন্ত্রণে সমস্যা
# অসম্পূর্ণ প্রস্রাব
# প্রস্রাব লিক হওয়া  
# প্রস্রাবে রক্তের চিহ্ন 

রোগ নির্ণয় 
চিকিৎসকরা বিভিন্ন পদ্ধতি বা রেক্টাল পরীক্ষার দ্বারা বিপিএইচ নির্ণয় করেন। যেমন - 
# ইউরিনালিসিস 
# ইউরোডায়নামিক টেস্ট 
# প্রস্টেট স্পেসিফিক এন্টিজেন টেস্ট 
# পোস্ট ভয়েড রেসিডুয়াল 
# সিস্টোস্কপি 
# ইউরোগ্রাফি 

চিকিৎসা কি 
এই রোগের প্রাথমিক চিকিৎসাই হলো নিজের যত্ন নেওয়া ও শরীরের প্রতি খেয়াল রাখা। যেমন মদ্যপান ও ক্যাফিনের থেকে দূরে থাকুন। অযথা স্ট্রেস নেবেন না তাতে প্রস্রাবের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ে। এছাড়া নিয়মিত ব্যায়াম করুন, বেশ কিছুটা সুফল পাবেন। তারপরেও যদি উপসর্গ রয়ে যায় তাহলে একজন দক্ষ চিকিৎসকের বা ইউরোলজিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে বা প্রয়োজনমত সার্জারি করিয়ে নিতে হবে। আর সার্জারি মানেই কিন্তু কাটাছেঁড়া নয়। বর্তমান শল্য চিকিৎসায় অত্যাধুনিক পদ্ধতির দ্বারা একেবারে সহজ সার্জারি সম্ভব হচ্ছে। যেমন ট্রান্স ইউরেথ্রা রেসেকশন অফ প্রস্টেট। এই পদ্ধতিতে পুরুষের যৌনাঙ্গের মধ্যে দিয়ে রিসেক্টোস্কোপের দ্বারা প্রস্টেটের কিছু অংশ বা বর্দ্ধিত টিস্যু বের করে নেওয়া হয়। এছাড়াও লেজার ট্রিটমেন্টের দ্বারা সফল ভাবে প্রস্টেট সার্জারি করা হয়। 

তবে ভয়ের কিছু নেই। তার কারণ আপনি একা নন। সারা পৃথিবী জুড়ে সংখ্যায় প্রায় ১০ কোটির ওপর মানুষ এই রোগে আক্রান্ত এবং আশ্চর্যের বিষয় হল আশি বছর বয়েসের ঊর্ধ্বে প্রায় ৯০ শতাংশ পুরুষেরই এই রোগ হয়। সুতরাং নিশ্চিন্তে থাকুন এবং একজন ইউরোলজিস্টের সাথে যোগাযোগ করুন। আপনার শরীর তো আপনারই দায়িত্ত্বে। তাই না ?

#urology #prostate #benignprostatichyperplasia #oldmendisease #GenesisHospitalKolkata #asprescribed